নিউটন যে সূত্রগুলো দিতে ভুলে গেছেন |
১। লাইনের সূত্র : যখন আপনি তাড়াতাড়ি সামনে এগোনোর জন্য একটা লাইন ছেড়ে অন্য লাইনে দাঁড়াবেন, তখন ছেড়ে আসা লাইনটা আপনি পরে যে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তার চেয়ে দ্রুত আগাতে থাকবে।
২। টেলিফোনের সূত্র : যখন আপনি কোনো রঙ নাম্বারে ফোন করবেন, তখন কোনো এনগেজড টোন শুনতে পাবেন না।
৩। গ্যারেজের সূত্র : গ্যারেজে কাজ করতে করতে যখন দুই হাত একদম কালিঝুলিতে ভরে যায় ঠিক তখনই নাকের ডগাটা চুলকায়।
৪। বাথরুম সূত্র :
প্রথম সূত্র : পানি ঢেলে সারা শরীর এবং চুল একদম ভিজিয়ে ফেলার পরপরই ফোনটা বেজে উঠবে।
দ্বিতীয় সূত্র : সারা শরীরের সাবান মাখার পর কিংবা চুলে শ্যাম্পু মাখার পরপরই ট্যাপের পানি বন্ধ হয়ে যাবে।
৫। কারণ দেখানোর সূত্র : যখনই আপনি আপনার ঊর্ধ্বতনকে দেখাতে যাবেন কম্পিউটারটা ঠিকমতো কাজ করছে না, তখনই দেখবেন সেটা ঠিকঠিক কাজ করছে।
৬।চুলকানির সূত্র : শরীরের সেই স্থানের চুলকানি সবসময় বেশি তীব্র হয় যে স্থানে হাত পেঁৗছানো বেশি কঠিন।
৭। কফির সূত্র : ঠিক যখনই এক মগ গরম কফি হাতে নিয়ে আপনি আরাম করে খেতে বসবেন, ঠিক তখনই বস আপনাকে ডেকে পাঠাবে কোনো জরুরি কাজ করে দেওয়ার জন্য।
৮। দেখা হওয়ার সূত্র : স্ত্রীর সঙ্গে শপিংয়ে বের হলে এমন একজন বন্ধু বা বান্ধবীর সঙ্গে আপনার দেখা হবে যাকে আপনার স্ত্রী দু'চোখে দেখতে পারে না।
৯। মিথ্যা বলার সূত্র : অফিসে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে মিথ্যা বলুন_গাড়ির টায়ারটা রাস্তায় পাংচার হয়ে গিয়েছিল। ঠিক ঠিক পরদিন সকালে অফিসে যাওয়ার সময় টায়ারটা পাংচার হয়ে যাবে।
১০। আকাঙ্ক্ষার সূত্র : কোনো কিছু পেতে চাইলে কমপক্ষে তিনবার ভাবুন। কারণ জীবনের সব কাঙ্ক্ষিত জিনিসই দামি অথবা অনৈতিক কিংবা বিবাহিত।
১১। কেনাকাটার সূত্র : দোকান থেকে কোনো কিছু কিনে খুশিমনে ফিরতে গেলে দেখবেন অন্য একটা দোকানে একই জিনিস আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
১২। চাকরির সূত্র : অফিসে আপনি যত বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত হতে থাকবেন বসের চোখে তত বেশি আপনার ভুল ধরা পড়বে।
১৩। বীমার সূত্র : যে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বীমা করবেন, ধরে রাখুন সেটা ছাড়া বাকি সব দুর্ঘটনা আপনার জীবনে ঘটবে।
১৪। খুঁজে পাওয়ার সূত্র : শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার পথে যে চকোলেটটা আপনি খাবেন বলে ভাববেন সেটাই বাজারের ব্যাগের সবচেয়ে নিচে থাকবে।
১৫। দরজা খোলার সূত্র : দরজা খোলার সময় আপনার একটা হাতে কোনো জিনিস ধরা থাকে তাহলে দরজার চাবিটা থাকবে যে হাতটা খালি ঠিক তার বিপরীত দিকের পকেটে।
১৬। কাপড় নোংরা হওয়ার সূত্র : জরুরি কোনো মিটিংয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে কাপড়ে চা বা কফি ছলকে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
১৭। দরকারের সূত্র : বছরের পর বছর পড়ে আছে বলে কোনো জিনিস ফেলে দিলে দেখবেন ঠিক পরের সপ্তাহেই জিনিসটা আপনার দরকার হবে।
১৮। কলিংবেল বাজার সূত্র : বাসায় যখন একা থাকবেন এবং ঠিক যখন কমোডে বসবেন, তখনই কলিংবেলটা বেজে উঠবে।
১৯। টিভির সূত্র : সারাদিনের কাজ শেষে যখন আরাম করে একটু টিভি দেখার জন্য বসবেন, তখন সব চ্যানেল বেছে বেছে সবচেয়ে জঘন্য আর বিরক্তিকর অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করবে।
২০। চুল আঁচড়ানোর সূত্র : যেদিন খুব যত্ন করে সময় নিয়ে চুল আঁচড়ে বাইরে বের হবেন সেদিনই দমকা বাতাস বইবে, না হয় হঠাৎ নামা বৃষ্টি আপনাকে ভিজিয়ে দেবে।
২১। অফিস থেকে ফেরার সূত্র : যেদিন অফিস থেকে দেরি করে বাসায় যাবেন, সেদিন আপনাকে কেউ খেয়াল করবে না। কিন্তু যেদিন তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হবেন সেদিন দরজায় বসের সঙ্গে নিশ্চিত দেখা হয়ে যাবে।
২২। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সূত্র : শরীর খারাপ লাগার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যান, চেম্বারে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানোর আগেই শরীরটা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু না গিয়ে ঘরে বসে থাকুন, কিছুতেই শরীর ভালো হবে না।
২৩। কাপড় পরার সূত্র : যে কাপড়টা পরতে চাইবেন সেটার কোনো না কোনো সমস্যা বের হবে। যে কাপড়টা পরলে সবচেয়ে বিশ্রী লাগবে সেটাই ঠিকঠাক গায়ে লাগবে।
লেখক ঃ ফারজানা ঊর্মি
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন